জেলার সংবাদ, বিশেষ প্রতিবেদন, কৃষি

কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

আবু বকর

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ১৫ই জুলাই ২০২১ ১০:২৩:০৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

২১শে জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই ব্যস্ত সময় কাটছে মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর ও ঝালকাঠির খামারিদের। পশুর হাটগুলোতে দেশীয় পদ্ধতিতে পালিত এসব গরুর চাহিদাও ভাল। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে পশুর নায্যদাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ গ্রামের নোমাজ আলীর ৪০ মণ ওজনের ষাঁড়ের নাম ‘সাহেব’। বিক্রির জন্য তিনি দাম চাইছেন ৩০ লাখ টাকা। সাহেবের মতো জেলার হরিরামপুরের রফিকুল ইসলামের ষাঁড় সম্রাটের ওজন ৩৫ মণ। ঘিওরের হাবিল মিয়ার রতনের ওজন ৩০ মণ। তবে এসব পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা।

খামারিরা জানান, অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। খাওয়ানো থেকে শুরু করে সবকিছু দেখার জন্য দুইজন মানুষ সব সময় ছিল। গরুর দাম ভালো না হলে তাদেরকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, কোরবানির হাটে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার পশু। মানিকগঞ্জের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, 'অনেক খামারি গরু পালনের জন্য ব্যংক থেকে ঋণ নিয়েছে। এখন যদি ভালো দাম না পায় তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।'

ফরিদপুরের টেপাখোলা ও সিএন্ডবি ঘাট, আফজান মন্ডলের হাটকে কেন্দ্র করে জেলার চরাঞ্চলের মানুষ দুই হাজরের বেশি ছোট-বড় খামার গড়ে তুলেছে। একদিকে করোনা অন্যদিকে বন্যায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে খামারিরা। এ বছর জেলায় ৫০ হাজার গবাদি পশু পালন করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় অনলাইন পশুর হাটের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ঝালকাঠির ১ হাজার ৬৩৮ জন খামারি ১১ হাজার ৫১৯টি পশু পালন করেছেন। এবছর করোনা পরিস্থিতিতে পশুর হাট বসার নিষেধাজ্ঞায় দুশ্চিন্তায় খামারিরা।

অনলাইন পশুর হাট বসানো হয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত স্থানে হাট বসানো হতে পারে বলে জানিয়ে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জোহর আলী বলেন, 'এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ গরুর তথ্য অনলাইনে দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি যারা অনলাইনে গরু বিক্রি করতে ইচ্ছুক তারা এখানে তথ্যাদি আপলোড করবে।'

আরও পড়ুন