করোনা মহামারির প্রভাবে গরু বিক্রি করতে পারবেন কী-না সেই আশঙ্কায় আছেন তারা।
কোরবানিতে পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন নাটোরের খামারিরা। প্রায় এক বছর ধরে প্রস্তুত করলেও মহামারির প্রভাবে গরু বিক্রি করতে পারবেন কী-না সেই আশঙ্কায় আছেন তারা। লোকসান হলে কাজ হারানোর শঙ্কায় আছেন খামার কর্মচারীরাও।
এবার কোরবানির জন্য জেলার ৭ উপজেলায় এক লাখেরও বেশি গরু প্রস্তুত করেছিলেন ৪ হাজার খামারি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪০ হাজার পশু বিক্রির কথা ছিলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
তবে, মহামারির কারণে অবিক্রিত থেকে যাবে কোরবানির পশু এমন শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা। গরু ব্যবসায়ীরা বলেন, এবার যদি ভারত থেকে গরু না সে তাহলে ভালো একটয়ি দাম পেতে পারি। কিন্তু আমাদের একটা আশংকা রয়ে গেছে যে করোনা মহামারির কারণে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। অন্যান্য বছর এই টাইমে আমাদের খামারের প্রায় অর্ধেক গরু বিক্রি হয়ে যায়।
বিক্রি না হলে লোকসান গুণতে হবে খামারিদের। এ অবস্থায় কাজ হারানোর শঙ্কায় আছেন খামার কর্মচারীরাও।
তবে, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, কোরবানির গরু অবিক্রিত থেকে গেলে প্রশাসনের সহায়তায় আশপাশের জেলায় বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, পশুগুলোকে যদি আমরা অন্য এলাকায় স্থানান্তর করে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে এই মহামারির কারণে তারা যে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে তা কিছুটা হলেও কমবে।
এদিকে, পশু পরিবহণে খামারিদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। তিনি বলেন, গবাদি পশুগুলো এই বাজারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত যে পশুগুলো থাকবে সেগুলোকে ঢাকা, চট্টগ্রামের মত বড় শহরগুলোতে নেয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো।