করোনাভাইরাসে নেপালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। তার ছোঁয়া লেগেছে হিমালয়ের কোলঘেঁষা অবস্থিত নেপালেও। এ অবস্থায় দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা সামাল দিতে পারবে পরিস্থিতি, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
বহুদিন পর্যন্ত নেপালের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিলো। কিন্তু ভারতে দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর মধ্য এপ্রিলেই খারাপ হতে শুরু করে সেই চিত্র। মাত্র দুই সপ্তাহে নেপালে করোনা সংক্রমণ বাড়ে সাতগুণ। পরীক্ষায় প্রতি একশ জনে ৪৪ জনের শরীরে মিলতে থাকে প্রাণঘাতী ভাইরাসের উপস্থিতি। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মৃত্যুহারও।
গেল কয়েকদিনে যদিও, নেপাল তার সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ ও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে লকডাউন জারি করেছে। তবে, ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থার দেশটিতে তা কতোটা কাজে আসবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
একমাস আগেও নেপালে দৈনিক শনাক্ত ছিল একশ'রও আশপাশে। সম্প্রতি সেই হার আট হাজারের বেশি। ভারতের সাথে দীর্ঘ সীমান্ত থাকা নেপালে দু'দেশের নাগরিকেরাই অবাধে যাতায়াত করে থাকে। মনে করা হচ্ছে ভারতীয় ধরন প্রবেশ করাতেই হিমালয় কন্যার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
দেশটির চিকিৎসকরা বলছেন, সামনে বিপর্যয় ঘটতে পারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়।
নেপালের মোট জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি। যাদের বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১ শতাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছে দেশটির সরকার।