জাতীয়, রাজনীতি

খালেদা জিয়ার জামিন ইস্যু: সুপ্রিমকোর্টে কঠোর নিরাপত্তা

জাহিদ হাসান

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১১ই ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:৫৫:১৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের আদেশ ঘিরে জোরদার করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা।

এরই মধ্যে আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদালতে পাঠানো হয়েছে তার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদনও। বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য মামলাটি রাখা হয়েছে দিনের কার্যতালিকার ১২ নম্বরে।  

গেলো ৫ই ডিসেম্বর দুর্নীতির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আদালত এ ঘটনাকে বলেন নজীরবিহীন।  

হট্টগোলে প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ ছিল বিচারকাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এসব ঘটনা এড়াতে আপিল বিভাগের এজলাসে আটটি  ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর ছাড়াও  বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রণ করা হবে আইনজীবীদের প্রবেশাধিকারও। 

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিশৃংখলাকারিদের নিয়ন্ত্রণ করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কতিপয় কিছু আইনজীবি আমার মনে হয়না তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবি, তারাই বেশি হট্টগোল করেছে। আদালতের সঙ্গে এসব আচরণ সঙ্গতিপুর্ণ নয়। এরপর এমন কোন ঘটনা ঘটলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।

তবে এজলাসে হট্টগোলের দায় নিতে নারাজ বিএনপি। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন বলেন, আমরা এই আদালত থেকে একটা ন্যায় বিচার চাই। সরকার কোন অবস্থাতেই যাতে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ না করে। 

তবে দুদক আইনজীবী বলছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আইনগত লড়াই বাদ দিয়ে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করছেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু তারা কিছু হলেই সরকারের কথা বলে।এখানে কেন সরকারের কথা আসে সেটি আমি বুঝতেছি না। তারা সরকারকে এক নম্বর পক্ষ মনে করে আর আমাকে দুই নম্বর পক্ষ মনে করে কিন্তু মামলাটা আমার। 

পুলিশ বলছে, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিমকোর্টের সব গেইট ও ভেতরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালত সিকিউরিটি বিভাগের এডিসি নাদিয়া ফারজানা বলেন, কোর্ট আমাদের কাছে যেমন নিরাপত্তা চাচ্ছে আমরা সেভাবেই ফোর্স তৈরি রেখেছি। যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা আসলে কাম্য নয়। বিশৃঙ্খলাকারিরা যাতে আদালতে প্রবেশ করতে না পারে আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। 

আইনজীবীরা বলছেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন হলেও মুক্তি মিলবে না  খালেদা জিয়ার।কারণ তাকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায়ও জামিন পেতে হবে।  খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাঁচটি মামলার মধ্যে ৩৭টি মামলা বিচারধীন। 

আরও পড়ুন