জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আদেশ দেয়া হবে।
এর আগে, বেলা ১১.৩০টা পর্যন্ত মুলতবি থাকার পর আবারও শুরু হয় শুনানি। বিএসএমএমইউ এর পাঠানো মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রধান বিচারপতির আদালতে উপস্থাপন করা হয়। মেডিক্যাল রিপোর্টের উপর শুনানি চলে। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে। রাজি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জামিন শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, 'খালেদা জিয়া ভালো আছেন, শুধু শিরায় ব্যথা। উনার যে রোগ এটা দীর্ঘমেয়াদি রোগ, এটার চিকিৎসা দেশেই সম্ভব।' আর, আইনজীবী জয়নুল আবেদিন শুনানিতে দাবি করেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে জামিন দেয়া উচিত।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করতে আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন: অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, ফারুক হোসেন ও একেএম এহসানুর রহমান। দুদকের পক্ষে রয়েছেন খুরশীদ আলম খান। আর, রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এদিকে, আপিল বিভাগের সামনে বিএনপিপন্থী আইনজীবিদের হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে জামিন আবেদনের শুনানির আগে দুই পক্ষের ৩০ জন করে মোট ৬০ জন আইনজীবী এজলাসে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। তবে, ৬০ জনের বেশি আইনজীবী উপস্থিত থাকায় এজলাস ত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। পরবর্তীতে আবার জামিন শুনানি শুরু হয়।
খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিমকোর্টের সব গেইট ও ভেতরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের প্রতিটি ফটকে নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মূল ফটকগুলো দিয়ে ঢোকার সময় আগত ব্যক্তিদের পরিচয়পত্রও দেখাতে হচ্ছে। যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।
গত ৫ই ডিসেম্বর, দুর্নীতির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এতে, প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ ছিলো বিচারকাজ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। ১৮ই নভেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। তবে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন হলেও মুক্তি মিলবে না খালেদা জিয়ার। কারণ, তাকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায়ও জামিন পেতে হবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাঁচটি মামলার মধ্যে ৩৭টি মামলা বিচারধীন।