জেলার সংবাদ

খুশির ঈদে হাসি নেই চাঁদপুরের ব্যবসায়ীদের মনে

তালহা জুবায়ের, চাঁদপুর প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ৪ঠা মে ২০২০ ১২:২৪:০০ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আর কিছুদিন পরেই আসছে খুঁশির ঈদ। কিন্তু হাসি নেই ব্যবসায়ীদের মনে। এই সময়টাতে ক্রেতাদের সামলাতে ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও রাজ্যের কালো মেঘ জমেছে ব্যবসায়ীদের মুখে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে টানা লকডাউনে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুরের বিপনী বিতানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর এতে ক্ষতির মুখে পড়ে দেউলিয়া হওয়ার পথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের হাজারো ব্যবসায়ী। একদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া আর অন্যদিকে স্টাফদের বেতন বকেয়া পড়ছে দিন দিন। এতে করে ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠছেন দিশেহারা। তাদের আশা, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে বিকল্প কোন ব্যবস্থা।

গত ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। ঈদকে সামনে রেখে বেচা-কেনার জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকে তারা। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে চিত্রটা পুরো উল্টে গেছে। সাধারণত এই সময়ে শপিং সেন্টারগুলো ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও বর্তমানে তালা ঝুলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এই সময়ে ব্যবসায় করে কিছু মুনাফা আয়ের স্বপ্ন পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে। ঈদের খুশির বদলে হতাশা আর দুশ্চিন্তা জড়ো হয়েছে ব্যবসায়ীদের মুখে।

শহরের হাকিম প্লাজা, হকার্স মার্কেট, পূরবী মার্কেট, মীর শপিং কমপ্লেক্স, ফয়সাল শপিং সেন্টারগুলোতে ঘুরে দোকানের সাটারে তালা ঝুলতে দেখা যায়। যদিও কিছু দোকানি স্বল্প দোকান খুলে মালামাল বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। শহরের হাকিম প্লাজার ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউনের কারণে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে আমাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে আমরা এখন অনেক কঠিন সময় পার করছি। সকল ব্যবসায়ী ঈদকে সামনে রেখে কিছু মুনাফা করার আশায় থাকে। কিন্তু আমাদের আশা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে মুনাফা করাতো দূরের কথা, দোকান ভাড়াই পরিশোধ করা সম্ভব হবে না আমাদের।

চাঁদপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মিলন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ধুলাবালি পড়ে নষ্ট হচ্ছে জিনিসপত্র। একই সাথে দোকান ভাড়া ও প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা নিয়ে বাড়ছে দুঃশ্চিন্তা। অনেকে আবার বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণের ভার বয়ে বেড়াচ্ছেন কাঁধে। মধ্যবিত্ত এসব মানুষগুলো কারো কাছে হাত পাততে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন। এরই মাঝে কিছু ব্যবসায়ী স্বল্প পরিসরে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে কিছুটা বেচা-বিক্রির চেষ্টা করছেন।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র চাঁদপুর শহরেরই ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে ১২শ’ বস্ত্রের দোকান। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে চাঁদপুর জেলায় কয়েক হাজার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যবসায়ীদের দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালু করার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করছি। দিনদিন বাড়ছে আমাদের ব্যবসায়ীক ব্যয়। এভাবে চললে পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না ব্যবসায়ীদের।

আরও পড়ুন