গাইবান্ধায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। শয্যা সংকটের পাশাপাশি অপরিচ্ছন্ন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে জনবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছে তারা।
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ১ সপ্তাহে ২০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ২৬০ জন রোগী। শয্যা সংকটে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় ঠাঁই হয়েছে ডায়রিয়া আক্রান্তদের। এছাড়া, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এক শিশু।
রোগী ও স্বজনরা বলছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ড নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। তাদের অভিযোগ, এমন অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
ভুক্তভোগী স্বজনরা বলেন, 'পেট ব্যথা করছে। ঘুমাচ্ছে না বাচ্চা। বারবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না।'
চিকিৎসকরা বলছেন, জনবল কম থাকায় চিকিৎসা দেবার পাশাপাশি হাসপাতালের পরিবেশ পরিছন্ন রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শিহাব মোহাম্মদ রেজওয়ানুর রহমান বলেন, 'জনবলের ঘাটতি রয়েছে। তারপরও আমরা যথা সম্ভব তাদেরকে সেবা দেবার চেষ্টা করছি। চিকিৎসা সবাই পাচ্ছে। কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েই সবার অভিযোগ রয়েছে।
পানি ফুটিয়ে পান করার পাশাপাশি বাসি খাবার পরিহার করার পরামর্শ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।