জাতীয়, অপরাধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইন ও কানুন

গুজব ছড়ানোয় দুই বছরে আটক ৫০

সাইফুল রিপন

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ২৪শে নভেম্বর ২০১৯ ০৯:৫৯:৪০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

গুজব প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় জোর বিশেষজ্ঞদের।

গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই বছরে আটক হয়েছে অন্তত পঞ্চাশজন। গবেষকরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দুর্বল ব্যবস্থাপনার সুযোগেই গুজব ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা বেশি থাকে। গুজব প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পেঁয়াজের দামের উর্ধ্বগতি নিয়ে যখন তোলপাড় ঠিক তখনই লবণের দাম বাড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই গুজব দ্রুত দেশজুড়ে ছাড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে লবণের মজুদ পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি মাঠে নামে প্রশাসন আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে এরইমধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

 সাইবার ক্রাইম বিভাগের এডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, গুজব ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে আমরা প্রায় ৭০০ আইডি, পেইজ  শনাক্ত করেছি। এছাড়া এসব আইডি এবং পেইজের মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আমরা প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।

গুজব ছড়ানো বন্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগসহ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান জিয়া রহমান। তিনি বলেন, যারাই এ ধরণের গুজব ছড়ানোর কাজ করছে তাদেরকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা উচিত। আর এসব বন্ধের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হচ্ছে জনগণকে শিক্ষিত এবং বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তোলা।

গুজব ছড়িয়ে পড়ার জন্য রাষ্ট্রের দুর্বল কাঠামো ও সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করে তা বন্ধে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন গবেষক আফসান চৌধুরী। তিনি বলেন, যখন তথ্য থাকে তখন গুজব থাকে না। এক্ষেত্রে সরকার যদি পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারতো তাহলে কিন্তু লবণের গুজবটা হত না। রাজনৈতিক কারণে কিন্তু গুজব তৈরি হয় না। আমাদের রাষ্ট্র তেমন দক্ষ না, আর এই দক্ষতার ফলেও এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়। 

দুর্নীতি ও কালো টাকার প্রভাব কমাতে না পারলে রাষ্ট্রের সীমাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
 

আরও পড়ুন