গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য লাল শাপলার বিল। সারা বছর জুড়ে এসব বিলে ঘাস লতাপাতার মধ্যে সুন্দর লাল ও গোলাপি আভার শাপলা ফুল ফুটে এক অসাধারণ পরিবেশ তৈরি করে।
লাল ও গোলাপি শাপলা সমৃদ্ধ বিলগুলোর মধ্যে উপজেলার কান্দি বিল অন্যতম। বিস্তীর্ণ এই জলাশয়টিতে প্রায় সারা বছর পানি থাকে আর এই পানিতে থরে থরে ফুটে থাকে লাল ও গোলাপি শাপলা। এই শাপলা বিলকে ঘিরে কেমন আছে প্রাকৃতিক জীবনচক্র এমনি আবর্তিত হয় এর জীবিকা অন্বেষণের ক্ষেত্র হিসেবে। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের ঘুরিয়ে মাঝিরা যেমন অর্থ উপার্জন করেন, তেমনি মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন কেউ। আবার ঘাস লতাপাতা সংগ্রহ করে গবাদিপশুর আহারও জোগাড় করেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ইতিমধ্যে কান্দি ইউনিয়নের এই বিলটিকে শাপলালয় নাম দেওয়া হয়েছে। বিলের মাঝখানে গড়ে তোলা হয়েছে টং ঘর। সেখানে দর্শনার্থীরা বিশ্রাম নেন। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নানা রকমের পিঠা পুলি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। চলে গান-বাজনা ও প্রকৃতির মাঝে নির্মল আড্ডা।
এই নান্দনিকতা দেখতে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ ছুটে আসেন এসব বিলে। তবে, অসচেতনতার কারণে পর্যটকদের ফেলে যাওয়া পানির বোতল সিগারেটের প্যাকেট এবং অন্যান্য আবর্জনায় প্রতিদিন বিলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক জনাব শাহিদা সুলতানা বললেন, আগামীতে কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের এই শাপলালয়টিকে আরো পর্যটকবান্ধব করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় নতুন নতুন অবকাঠামো তৈরি করে দেয়া হবে।