গ্রামীণ ফোনের কাছে বকেয়া পাওনার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক। দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিতক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বকেয়া পাওনা জটিলতার কারণে মোবাইল অপারেটরগুলোর সেবার মান কমেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের শুরুতে দেশে ফাইভজি চালুর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এক বছরে দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ লাখ। আর ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে টেলিডেনসিটি দাড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ২ শতাংশে। সংবাদ সম্মেলনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান জানালেন গেল এক বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা ৭৮ লাখ বেড়ে হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ। তবে কমেছে মোবাইল ফোনের সেবার মান।
সেবার মান বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত অপারেটরদের মনিটরিংয়ে রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহফুজুল করিম মজুমদার বলেন, 'আমাদের সব সময় কনসার্ন থাকে যে, কোয়ালিটি অব সার্ভিসটা যাতে নিশ্চিত হয়। ড্র ব্যাক থেকে বেরুতে পারলে এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস ইমপ্রুভ করবে।'
বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, গ্রামীণ ফোনের কাছে বকেয়া আদায়ের বিষয়ে বিটিআরসি আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। তিনি আরও বলেন, 'সুপ্রীম কোর্ট যে আদেশ দিয়েছে আমরা সেটা মানবোই। সেটা তিন মাসের জন্য তারা বলেছে। তিন মাস পর আইনানুগ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।'
এছাড়াও নতুন বছরে ফাইভজি'র প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান। বললেন, ২০২১' এ ফাইভ জি চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের কথাও। বিটিআরসি'র কমিশনার আমিনুল হাসান জানান, '২০২১ এর শুরুতেই পাইভ জি চালু করবো।'
গেল বছর দেশে ৯টি কারখানা থেকে ৯০ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হয়েছে বলেও জানায় বিটিআরসি। যার মধ্যে স্মার্ট ফোনের সংখ্যা ২০ লাখ।