ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে রংপুর, দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বোরো বীজতলা ও আলু ক্ষেতে। অনেক এলাকায় বীজতলা বিবর্ণ হওয়ার পাশাপাশি মরে যাচ্ছে চারা। আলু ক্ষেতেও দেখা দিয়েছে পাতাপঁচা রোগ।
টানা শৈত্য প্রবাহে আর ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা নিয়ে শংকায় পড়েছেন উত্তরের কৃষকেরা। রংপুরের বেশিরভাগ এলাকাতেই বোরো বীজতলা ফ্যাকাশে হবার পাশাপাশি মরে যেতে বসেছে। এতে করে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
একই অবস্থা আলু ক্ষেতেও। শীতের কারণে দেখা দিয়েছে পাতাপঁচা রোগ। কৃষকদের অভিযোগ, শীতের কারণে ক্ষেতে নানা রোগবালাই দেখা দিলেও কৃষি বিভাগ থেকে কোনো পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, দিনাজপুরে এবার ১ লাখ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এর জন্য ৯ হাজার ২৬৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হলেও বাদ সেধেছে বৈরি আবহাওয়া।
কৃষি বিভাগ মনে করে চাহিদার তুলনায় বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি হওয়ায় প্রতিকূল আবহাওয়া বোরো আবাদে কোন প্রভাব ফেলবে না।
অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ের ১ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে করা বোরো বীজতলা কনকনে ঠান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। সাদা ও লালচে হয়ে মারা যাচ্ছে কচি চারা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই থেকে তিন দিন রোদ পেলেই বীজতলা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।