দেশে চারণ ভূমি কমে যাওয়ায় ঘাসের অভাবে গবাদি পশু পালনে আগ্রহ কমছে মানুষের। সেই সংকট মেটাতেই নোয়াখালীতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ঘাস চাষ।
অন্য ফসলের চেয়ে ঘাস চাষে কষ্ট ও খরচ কম, কিন্তু লাভ বেশি। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে অনেকেই হয়েছেন সফল। আর, সম্ভাবনাময় হওয়ায় কৃষকদের ঘাস চাষে উৎসাহ দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
জেলার সুবর্ণচর, হাতিয়া, কোম্পানিগঞ্জে ৪ থেকে ৫শ’ একর জমিতে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার, জার্মান, জাম্বু পাপচনসহ বিভিন্ন জাতের ঘাস। চাষিরা বলছেন, অন্য ফসলের তুলনায় ঘাস চাষে খরচ কম। উল্টো উৎপাদন ও লাভ বেশি। তাছাড়া, তেমন কোন যত্ন-আত্তিরও দরকার হয় না। সরকারি সহায়তা পেলে নোয়াখালী জেলায় ঘাস চাষ আরও বাড়বে বলে মনে করেন চাষিরা।
খামারিরা জানান, আগে গো-খাদ্যের সংকট ছিলো। এখন জেলায় ব্যাপকভাবে ঘাস চাষ হওয়ায় একদিকে যেমন চাহিদা পূরণ হচ্ছে, তেমনি অনেকে স্বাবলম্বীও হচ্ছেন।
জেলায় এ জাতের ঘাসের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা থাকায় কৃষকদের নানা ভাবে উদ্বুদ্ধ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।