চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেয়া ২০২ রানের টার্গেটে বিনা উইকেটে ১০৯ রান তুলে ৪র্থ দিন শেষ করেছে বাবর আজমের দল।
শেষদিনে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার আর মাত্র ৯৩ রান, হাতে আছে পুরো ১০ উইকেট। দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিক দুইজনই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৩৩ ওভার বল করেও কোন উইকেটের পতন ঘটাতে পারেনি টাইগার বোলাররা।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দিনের শুরুতেই চার রান যোগ হতেই ১৬ রান করা মুশফিকের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হাসান আলীর অফ স্ট্যাম্পের ওপর থাকা বলটাকেই সঠিকভাবে বিচার করতে পারেননি মুশফিক। ছেড়ে দিলে অফ স্ট্যাম্পকে উড়িয়ে নিয়েই যায় বল।
মুশফিক আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন লিটন দাস। জুটি বাধেন ইয়াসির আলি রাব্বির সঙ্গে। ৪৭ রানের জুটি গড়েন দু’জন মিলে। এ সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। শাহীন আফ্রিদির ওভারে হেলমেটে বলের আঘাত লাগে রাব্বির। প্রথমে খেলা চালিয়ে গেলেও পানি পানের বিরতির সময় ফিজিওর পরামর্শে মাঠ ছাড়েন ৩৬ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। পরে তাকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে।
এরপর সাজিদ খানের বলে মিরাজ আউট হয়েছেন ১১ করে। আর রাব্বির কনকাশন সাব হিসেবে নেমে সোহান আউট হন ১৫ করে। তবে আরেক প্রান্ত থেকে লিটন তুলে নেন ফিফটি। ক্যারিয়ারের দশম হাফ সেঞ্চুরির তুলে নেয়ার পর লিটন ফিরে যান ৫৯ রান করে। এরপর শেষ ব্যাটসম্যান তাইজুল আউট হবার পর ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
পাকিস্তানের পক্ষে ৫ উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। আর সাজিদ খান ৩টি ও হাসান আলী ২টি উইকেট পেয়েছেন।
২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কোন ঝামেলাই হয়নি পাকিস্তানি ওপেনারদের। পেসারদের সঙ্গে স্পিনারদেরও আবিদ-শফিক জুটি খেলেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। আবিদ আলী ৫৬ ও আবদুল্লাহ শফিক ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩৩০ ও পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান করে।