চট্টগ্রামের বন্দর কলোনীতে পরিত্যক্ত সরকারি বাসা, কিন্তু সেখানে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে বহিরাগতরা। তাদের ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে বন্দরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক স্টাফ নুরু ও সিবিএ নেতা মনছুরসহ আরো বেশ কয়েকজনের দখলে রয়েছে এসব পরিত্যক্ত ভবন।
চট্টগ্রাম বন্দর কলোনীর জেড ৩ ভবনে কর্তৃপক্ষ লিখে দিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। ২০১৯ সালে এরকম ৪২টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এরপর ভবনের আট ইউনিটের মধ্যে পাঁচটির বাসিন্দাকে সরিয়ে দেয়া হয় অন্য কোয়ার্টারে।
পরিত্যক্ত ভবনগুলো খালি থাকার কথা থাকলেও এসব ভবনে বাস করছে বহিরাগতরা। তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয় পাঁচ থেকে বারো হাজার টাকা। এরকম কয়েকশ' কোয়ার্টার বিভিন্ন জনের দখলে রয়েছে।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে বন্দর কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দরের কিছু মানুষ এসব বাসায় থাকছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের উপ সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম নান্টু বলেন, এগুলোর জন্য অলরেডি লোক আছে। দরজা-জানালা পাহারা দিতে ও কিছু লোক যেন সেখানে গিয়ে মাদক সেবন করতে না পারে তাই তারা পাহারায় থাকেন।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দখলদারদের রোষানলে পড়তে হয়।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন বন্দর কতৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কেউই। পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস করায় একদিকে যেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে অন্যদিকে, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস ব্যবহারের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে বন্দরের।