ছাত্রলীগের একাংশের সংবাদ সম্মেলন

চমেক অধ্যক্ষ ও হোস্টেল তত্ত্বাবধায়কের পদত্যাগ দাবি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২৪শে নভেম্বর ২০২১ ০৩:৪২:০৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার ও ইন্টার্ন হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।

এসময় তারা বলেন, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন অধ্যক্ষ। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আকিবের ওপর হামলাকারীদের সিসিটিভি ক্যামেরায় চিহ্নিত করা গেলেও অধ্যক্ষ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। তিনি ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবিরের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘটিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নির্দোষ ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তারা এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেন।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার আগামী ২৭শে নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত ও সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে কলেজ থেকে বহিষ্কার এবং ছাত্রাবাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি, সভা ও সমাবেশ আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এ নির্দেশনা না মেনে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের বিবাদমান ২টি গ্রুপ। এসময় আহত হয় বেশ কয়েকজন। এরমধ্যে আকিব নামে ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী মাথায় গুরুতর আঘাত পেলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরে অপারেশন করে তার মাথার হাড়ের একটি অংশ খুলে পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়। ওই হাড় আরেকটি অপারেশনের মাধ্যমে আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। আহত আকিব দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছেন। পরে অনদির্ষ্টকালের জন্য কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন