করোনার প্রভাবে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যটকের আনাগোনা না থাকায় ভোলার চর কুকরি-মুকরির প্রকৃতি যেন ফিরেছে আপন রূপে।
৪-৫শ বছর আগে পলির স্তর জমে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে গড়ে ওঠে চর কুকরি মুকরি। করোনা মহামারির কারণে পর্যটকদের আনাগোনা কমে আসায় এখানকার প্রকৃতি যেন ফিরে পেয়েছে নিজের রূপ। চারদিকে সবুজের সমারোহে বন্যপ্রাণিরাও আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে। মাঝে মাঝে ফসলের ক্ষেতেও দেখা মিলছে হরিণের দলের।
জলরাশির বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বীপটির ম্যানগ্রোভ বনের গোলপাতা, গেওয়া, সুন্দরী ও কেওড়ার গাছে দেখা মেলে দোয়েল, ময়না ও টিয়া পাখির। কাঠ বিড়ালি ও বানরের দেখাও মেলে এই বনে। তবে, সীমিত পরিসরে ফিরতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। মুগ্ধ হচ্ছেন এখানকার সৌন্দর্যে।
এক পর্যটক বলেন, 'আগে এসেছিলাম পরিবেশ ভালো লাগেনি। অনেক মানুষের ভীড় ছিলো। এখন নিজের মত ঘুরতে পারছি।
আরো এক পর্যটক জানান, 'আমি এসেছি বরিশাল থেকে, অনেত ইচ্ছে ছিলো কুকড়িতে আসার। এসে খুব ভালো লাগছে। এখানে যে কেউ আসলে ক্লান্ত মন ভালো হয়ে যাওয়ার মত জায়গা।'
তবে বন বিভাগ বলছে, প্রকৃতির সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে নজরদারি অব্যাহত রাখবেন তারা। ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, 'আগের চেয়ে অনেক বেশি বন্যপ্রাণি ও পাখি আমরা দেখতে পাচ্ছি। এ পরিবেশটা যাতে টিকে সেজন্য আমরা নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।'