চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙন দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীতে। বর্ষায় ভাঙনের ক্ষত না শুকাতেই নদীর বাম তীর প্রকল্পে আকস্মিক ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে ফসলি জমি, বরই বাগানসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থাপনাও। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীর পানির লেন বদল হওয়ায় এমন পরিস্থিতি।
ধসছে মাটি, ভাঙছে তীর। সেই সাথে ভাঙছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর বাগডাঙ্গা ইউনিয়নবাসীর স্বপ্ন। পদ্মা পাড়ের এই ইউনিয়নটির বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের গোয়ালডোবি ও বাখের আলী এলাকায় গেলো কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭শ' মিটার সংরক্ষণ বাঁধ ভাঙছে এভাবেই। বর্ষার পর, শুষ্ক মৌসুমের ভাঙনে দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ।
ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় এমন পরিণতি, বলছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ভুক্তভোগী এক স্তানীয় ব্যবক্তি বলেন, যে ভাঙনটা হয়েছে এতে সবাই আতংকিত। সরকার যেগুলো ফেলছে ভাঙন ঠেকাতে তাতে সম্পূর্ণভাবে আমাদের উপকারে আসবে না।
তবে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সারওয়ার জাহান সুজন বলেন, জিওব্যাগ ফেললে ভাঙনটা ঠেকে যাবে। রিহ্যাবিলিটেশনের একটা প্যাকেজ আছে সেই প্যাকেজের আওতায় আমরা বস্তা ডাম্পিং করছি। সেটা ট্রান্সপোর্ট মেম্বারের তত্ত্বাবধানে।
নদী তীরবর্তী মানুষজনের দাবি দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।