দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন চীন, ভারত, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে শতশত টন ডালিম আমদানী করা হচ্ছে।
তবে এবার দেশেই প্রথম বারের মত চাষ হচ্ছে ডালিমের। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মোকাররম হোসেন দুই বছর আগে ৫ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন বিদেশী এ ফলের। চলতি মাসের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগান থেকে বানিজ্যিকভাবে ফল বিক্রিও শুরু হয়েছে।
বাগান তৈরিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। বছরে ফল বিক্রি হবে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার। এছাড়া গাছের চারা থেকেও ভাল আয় হচ্ছে। দেশের বানিজ্যিক এই আনার বাগানটির পরামর্শক হিসাবে কাজ করছেন ভারতের কৃষিবিদ হারসাল মুখেকর। তার মতে, 'বাংলাদেশে মাটি ও আবহাওয়া ডালিম চাষের জন্য বেশ কঠিন ছিল। সেই কঠিন কাজটি সহজ করতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। এখন বানিজ্যকভাবে ফল বিক্রিও শুরু হয়েছে এ বাগান থেকে।'
ভারতের মহারাষ্ট্রের সয়েল চার্জার টেকনোলজির কৃষি বিশেষজ্ঞ হারসাল মুখেকর বলেন,'দেশের প্রথম ডালিমের বাগান দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বাগানটিতে।'
দেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডালিম চাষ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ ফল চাষ করে সফল হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার চাষী মোকাররম হোসেন। চারা রোপনের দুই বছর পর ফল উৎপাদন এবং তা বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। দেশের চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত এই বৃহৎ ডালিম বাগানটি।
রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামটি ভারতের সীমান্ত ঘেষা হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ আগে মাদক কারবারসহ চোরাচালানির সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু এখন ডালিম বাগানটিতে কাজের সুযোগ পেয়েছেন তারা।
বাগানটির উদ্যোক্তা শতভাগ সফল হলে দেশে আমদানি নির্ভরতা কমার আশা।চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলি হাসান বলেন,'ডালিম চাষ করেছেন। ফলন এসেছেে, এটা থেকে সে লাভোবান হতে পারবে। তাকে দেখে অন্য কৃষকেরা অনুপ্রাণিত হয়ে এ চাষে আসতে পারে।'