বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়ায় কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম।
তবে ধানের বাজার মূল্য এবার ভালো। ফলে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যপূরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। মিল মালিকদের সাথে চুক্তি হওয়ায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে তেমন শঙ্কা নেই। তারপরও কোনও ব্যতিক্রম হলে সরকার চাল আমদানি করবে।
রাজধানীতে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে। এছাড়া মানভেদে মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫২ আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা পাইকারি দরে। বিক্রেতারা জানালেন, বাজার গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার কিছুটা চড়া।
ধানের জেলা দিনাজপুর ও কুষ্টিয়াতেও চালের দর একই। মিল মালিকরা মনে করেন, বোরোর বাম্পার ফলনের পর এ বছর ধান বা চালের সঙ্কট হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে, বাজারে চালের দর বেশি হওয়ায় এ বছরে সরকারি গুদামে ধান চাল দেয়ায় আগ্রহ কম কৃষকের।
গেল বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলনের পর সরকার ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৮ লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করে। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন, চাল সরবরাহে মিল মালিকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চাহিদার তুলনায় উৎপাদন পর্যাপ্ত বলে এই মুর্হূতে চাল আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ।