আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহীর বানেশ্বর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট এখন জমজমাট। প্রতিদিনই বাড়ছে আমের দর। আর দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষী ও ব্যবসায়ীও।
যদিও আমের স্বাদ নিয়ে আছে অভিযোগ। তবে কৃষি বিভাগ আশ্বস্ত করছে, পরিবেশগত কারণে এবার আমের স্বাদ কিছুটা কম হলেও, পুষ্টিমান রয়েছে আগের মতই।
গোপালভোগ, খিরসাপাত বা হিমসাগরের সময় শেষ। ল্যাংড়া আমও প্রায় শেষের দিকে। সামান্য কিছু বাজারে উঠলেও সেগুলোর দাম আকাশ ছোঁয়া। বাজারে এসেই চড়া দাম পাচ্ছে আম্রপালিও। মানভেদে হাটে মণপ্রতি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।
ব্যবসায়ী ও চাষীরা বলছেন, আম্পানে এবার অর্ধেক আম ঝরে গেলেও, চাহিদা থাকায় ভালোই দাম পাচ্ছেন। আশা করছেন, ঝড়ের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
করোনার কারণে বেড়েছে পুষ্টিকর আমের চাহিদা, এমনটাই মত গবেষকদের।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, চাহিদা বেশি থাকলেও আমের স্বাদ নিয়ে অভিযোগ আছে ভোক্তাদের। অতিবৃষ্টির কারণে এবার আমের স্বাদ কম। তবে পুষ্টিমান রয়েছে সঠিক মাত্রাতেই।
এবার রাজশাহীর সাড়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্টিক টন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২লাখ ৫৯ হাজার মেট্টিকটন আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো।