টাঙ্গাইলে বিসিআইসি’র তালিকাভুক্ত ডিলারদের মাঝে যমুনা ফার্টিলাইজারের উৎপাদিত ও আমদানি করা জমাটবদ্ধ ইউরিয়া সার সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ডিলার ও কৃষক।
নিয়ম অনুসারে ডিলাররা অগ্রিম চাহিদাপত্র ও টাকা দিয়ে সার কেনেন। এই বাধ্যবাধকতার সুযোগে যমুনা ফার্টিলাইজার কর্তৃপক্ষ প্রতি চাহিদাপত্রের বিপরীতে বাধ্যতামূলক দুই থেকে তিন টন দেশিয় ও আমদানি করা জমাটবদ্ধ ইউরিয়া সার সরবরাহ করছে।
তবে কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করেও মিলছে না সমাধান। উল্টো জমাটবদ্ধ সার না নিলে দেয়া হচ্ছে ডিলারশিপ বাতিলের হুমকি। ফলে প্রান্তিক কৃষকরাও জমাটবদ্ধ সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ এমন সার বারবার প্রয়োগ করেও কোন কাজে আসছে না।
ডিলারদের প্রতারিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী সামছুল হক। তিনি বলেন, 'প্রতি গাড়িতে ২-৪ টন বাধ্যতামূলক এই সারগুলো দেয়। যার নুন্যতম মান নেই। জমাট বেঁধে পাথরের মত হয়ে যায়। সেটা আমাদের কোন কাজেই লাগেনা।'
তবে, দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল বাসার। তিনি বলেন, 'চাহিদা কম, বাজারমূল্য কম, ডিলাররা ঠকছে এবং কৃষকরাও এগুলো নিতে অনাগ্রহী। অনেক দিন আগে সার কেনা। আমি তাদেরকে জানাবো যাতে এই সারটা না দেয়। প্রয়োজনীয় ব্যভস্থা গ্রহণ করা হবে।'
জেলায় ১৭৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ৭৭ হাজার ৯৪ টন ইউরিয়া সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।