আন্তর্জাতিক, আমেরিকা

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে চাঁদের গতিপথ পরিবর্তনে বাড়বে বন্যা

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১৮ই জুলাই ২০২১ ০৮:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মানুষের নস্টালজিয়া বা রোমান্টিসিজম চাঁদকে ঘিরে অনেকটাই। তবে আর এক দশক পরই সেই চাঁদের কারণেই ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে পড়তে পারে মানুষেরই আবাসস্থল।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে চাঁদের কক্ষপথ পরিবর্তনে ২০৩০ সালে বিশ্বে ভয়ানক রূপ নেবে ঝড় আর বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎই টালমাতাল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ আর এশিয়ার অনেক অঞ্চল।  কোন পূর্বাভাস ছাড়াই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া দেশগুলো এখন জলবায়ু পরিবর্তনে কার দায় কতটা তা নিরুপণে ব্যস্ত।

এবার আরো এক ভয়ানক তথ্য সামনে এনেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আসছে দশকে বিশ্বে দুই তিন গুণ বাড়তে পারে বন্যার পরিমাণ। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ভূমিকা রাখবে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদও।

প্রায় ২০ বছরের ঘূর্ণনে চাঁদের প্রথম ভাগের এক চক্রে পৃথিবীর নিয়মিত জোয়ার বাধাপ্রাপ্ত হয়।  আর চক্রের দ্বিতীয়ার্ধে জোয়ার সম্প্রসারিত হয়। এখন চলছে চাঁদের ২য় চক্র। এরই মধ্যে বেড়ে গেছে বন্যার পরিমাণ। ২০৩০ সালের দিকে পূর্ণ সম্প্রসারণে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি কেমন হবে তা ভাবনায় ফেলেছে বিজ্ঞানীদের। নাসার বিজ্ঞানী বেন হেমলিংটন বলেন,'বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য সমুদ্রে পানির উচ্চতা বাড়ছে। এর সঙ্গে চাঁদের গতিপথের পরিবর্তন আসছে দশকগুলোতে বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বন্যার পরিমাণ বাড়বে।'

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরফ গলে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বাড়বে। ফলে ২১শ সালের শুরুতে বন্যা আর উপকূলের নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার পূর্বাভাস থাকলেও নতুন এই গবেষণা সেই শঙ্কাকে এগিয়ে এনেছে প্রায় ৭০ বছর।

তলিয়ে যাওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা ৬২ শতাংশ উপকূলীয় এলাকার এক তৃতীয়াংশই এশিয়া মহাদেশের। সময় কম থাকলেও এমন দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে নতুন করে পরিকল্পনা সাজানোর পরামর্শ বিজ্ঞানীদের।

আরও পড়ুন