জাপানে বসন্তের আগমনী বার্তা বয়ে আনে চেরি ফুল। দেশটির ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এই 'চেরি ব্লসম', জাপানি ভাষায় যার নাম-সাকুরা।
করোনার থাবা আছে, তারপরও আয়োজন থেমে নেই সাকুরা উৎসবের। পাতাঝরা গাছের ডালে প্রস্ফুটিত ছোট ছোট গোলাপি কুঁড়ি। চেরি ফুল মেলে ধরেছে নিজের সবটুকু শুভ্রতা।
থরে থরে ফুটে থাকা চেরি ফুলে ঢেকে গেছে জাপানের শিজুয়োকা প্রদেশের কাওয়াজু শহরের আকাশ। দূর থেকে দেখলে মনে হয় গোলাপি রং মেঘ।
প্রতিবছরের মতো এবারও জাপানের কাওয়াজু শহরে আয়োজন করা হয়েছে চেরি ব্লসম উৎসবের। করোনার কারণে এবারের আয়োজনের পরিসর সীমিত। তাতেও ভাটা পড়েনি উৎসবের সৌন্দর্যে। প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা করে নদীর ধারে খাবারের দোকান খোলা হয়েছে, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরাও।
একজন পথচারী বলেন, 'মহামারির করোনাভাইরাসের কারণে ভীষণ মানসিক চাপে ছিলাম। চেরি ব্লসম দেখে মন ভালো হয়ে গেছে।'
হাড় কাঁপানো শীতের প্রকোপ কিছুটা কমলেই ফুটতে শুরু করে চেরি ফুলের কুড়ি। প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত জাপানের শহর ও গ্রামে পথের ধারে এই ফুল ফুটে থাকতে দেখা যায়।
জাপানি সাহিত্য ও শিল্পে ‘বসন্তের দূত’ হিসেবে বিখ্যাত সাকুরা বা ‘চেরি ব্লসম’।