রাজনীতি

জাপা ও আ.লীগ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ৮ 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২৪শে মার্চ ২০২১ ০৪:২৭:২৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সাতক্ষীরার তালায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এসময় উভয় পক্ষের ৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মধ্যরাতে তালার খানপুর ঋষিপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তালা সদরের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নজরুল ইসলাম জানান, তিনি কেসমত ঘোনা গ্রামের ঋষিপাড়ায় মতবিনিময় শেষে সদরে ফিরছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাকিরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ওপর রড-লাটি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তার নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে খানপুর ঋষিপাড়ায় আশ্রয় নেয়। সেখানেও সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের রডের আঘাতে গুরুতর আহত হন মুড়াকুলিয়া গ্রামের ওজিয়ার শেখ। এছাড়া হাতুড়ি পেটায় আহত হয়েছেন ঋষিপাড়ার স্বপন দাস, তার মা আমাপতি দাস, জাদব দাস ও বিধান দাস।

নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার জাকিরসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। মাস ছয়েক আগে জেয়ালা-নলতার মৎস্যজীবী লুৎফর নিকারীকে হত্যার অভিযোগে তার ভাই সরদার মশিয়ারকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া তালা থানার এক এএসআইকে মারপিটের অভিযোগে সরদার জাকিরের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানান নজরুল।

তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাকির হোসেন জানান, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন নজরুল ইসলাম।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, খানপুর ঋষিপাড়ায় আমার পক্ষে প্রচারণা চালান আওয়ামী লীগের কর্মী সুফিয়া খাতুন। ঋষিপাড়া থেকে বের হওয়া মাত্রই তার ওপর হামলা চালায় নজরুলের বাহিনী। এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে নজরুলের বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে তার কর্মী সাদ্দাম হোসেন, তৈয়ুবুর রহমান ও শিউলী খাতুন আহত হয়ে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, ঘটনাটি জানার পর রাতেই সরেজমিনে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি দেখেছি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকা এখন যথেষ্ট শান্ত। এ ব্যাপারে বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন