তৃণমূলের পাঠানো তালিকা বাদ দিয়ে জামায়াত নেতার ছেলেকে নৌকা প্রতীক দেয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া চরতী ইউনিয়নে এই প্রার্থীর মনোনয়নে আপত্তি জানিয়ে তাকে বাদ দিতে কেন্দ্রে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পাশের নলুয়া ইউনিয়নে জামায়াতের এক পৃষ্ঠপোষককেও মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার উপজেলা, আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছাই করে তালিকা কেন্দ্রে পাঠায়। দল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষBfর পর চরতী ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীকে শুরু হয় আলোচনা।
অভিযোগ যুদ্ধাপরাধ মামলায় দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও কাদের মোল্লার ফাঁসির পর চট্টগ্রামের প্যারেড মাঠে জামায়াত গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে। সেখানে ইমামতি করেছিলো রুহুলের বাবা মোমিনুল হক। পরে এই জামায়াতের নেতার মৃত্যুর পর নগরীর প্যারেড মাঠে তার জানাজা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ ও শিবির।
সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা খুবই শঙ্কিত। আজকে দলে যারা নীতি-নির্ধারণে রয়েছেন সেখানে সে রকম কোন ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে কিনা। নাহলে এখানে মনোনয়নটা কিভাবে জামায়াত-বিএনপির লোক যারা দলের নীতিতে বিশ্বাসী না, তারা কিভাবে পেলো?
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া জামায়াত নেতার ছেলে রুহুল্লাহ চৌধুরী জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যেকটা ইউনিয়ন, উপজেলায় আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে ভূমিকা রেখে চলেছি।
মনোনীত প্রার্থীদের অনেকের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, কিছু কিছু বিতর্ক, ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে, নাই আমি বলবো না। তবে ক্যান্ডিডেট বিশেষ থাকাটা জরুরি। যেহেতু এখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি। তারপরও আমি বলবো এ নির্বাচনে একটি বার্তা রয়েছে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে আপনার জনপ্রিয়তা আছে কিনা, নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে কিনা সব বিষয় যাচাই করে মনোনয়ন দেয়া উচিত।