জাহাঙ্গীর আলমের দলীয় আর মেয়রপদ হারানোয় তার প্রতিপক্ষরা উজ্জীবিত হলেও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তার অনুসারীরা। তারা হামলা-মামলার আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিপক্ষ এখন উজ্জীবিত।
অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে গাজীপুরের রাজনীতি। সরিয়ে ফেলা হচ্ছে দলীয় অফিস ও সিটি কর্পোরেশন থেকে বরখাস্ত মেয়র ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি।
তবে, তৃণমূলের নেতারা চান, রাজধানী লাগোয়া গাজীপুরের রাজনীতি প্রাণ ফিরে পাক। উন্নয়ন হোক সিটি কর্পোরেশন এলাকায়।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল ওহাব মিয়া বলেন, ২০টি মহল্লা কমিটি, ৯টি ওয়ার্ড কমিটি এবং আরও কিছু সাব কমিটি করে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল এবং শক্তিশালী করতে হবে।
কোনো রকম বিরোধ, সহিংসতা নয়, নগরে শান্তি ও উন্নয়ন চান এলাকাবাসী। রাজনৈতিক নতুন মেরুকরণে গাজীপুরের উন্নয়ন থেমে যাবে কি না এমন চিন্তা করছেন নিরপেক্ষ ভোটাররা।
স্থানীয়রা বলেন, দলের মধ্যে কোন্দল থাকবেই কিন্তু তাতে করে যেন এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না হয়। যাকেই নেতা দেয়া হোক যাচাই বাছাই করে দেয়া হোক। আমরা সাধারণ ভোটাররা ভালো থাকতে চাই।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতা উল্লাহ মন্ডল বলেন, যেহেতু সে মেয়র এবং দলীয় কোন পদে নাই তাহলে সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে তার কোন অফিস থাকার দরকার নেই। তার নামে যেসব গেইট ছিল সেগুলো সে নিজ দায়িত্বে তার লোকজন নিয়ে সরিয়ে ফেলেছে। এগুলো নিয়ে কোন ভাঙচুর বা সংঘর্ষ হয়নি।
একটু সতর্ক হলে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ও সুযোগসন্ধানীদের দৌরাত্ম্য এতো বাড়তো না বলে মনে করেন গাজীপুরবাসী।