প্রায় নিথর, নিস্তব্ধ নগরী। ডাস্টবিনে নেই উচ্ছিষ্ট। অভুক্ত প্রাণিগুলো ময়লার স্তুপে খাবার যোগ্য কিছুর খোঁজে হয়রান।
শব্দদূষণ আর কোলাহলপূর্ণ মহানগরী এখন প্রায় নিঃশব্দ, শুনশান। ঘরবন্দি মানুষ। ফুটপাতের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বন্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোও। মানুষের দেয়া খাবারের ওপর নির্ভর করে যেসব প্রাণি এই শহরে বেঁচে থাকে তারা এখন মহাবিপাকে। তাদের জুটছে না উচ্ছিষ্টও। একটু খাবারের জন্যে সড়ক থেকে অলিগলিতে ঘুরছে-ফিরছে তারা। তবে, অভিভাবকহীন পথের প্রাণিদের ক্ষুধা মেটাতে এগিয়ে আসছেন কেউ কেউ।
রাজধানীর বিভিন্ন যায়গায় দেখা গেছে অভুক্ত প্রাণীর জীবনযুদ্ধ। ভাষা নেই, ক্ষুধা পেটে খাবারের সন্ধানে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে সড়ক আর গলিগুলোতে।
ওদের ক্ষুধা নিবারণে এগিয়ে আসছেন কেউ কেউ। ড্যানি দ্রং তেমন একজন। যিনি অফিস শেষে মোটরসাইকেল চেপে খুঁজে ফেরেন অভুক্ত কুকুর। পরম মমতায় ওদের মুখে তুলে দেন খাবার।
এদিকে, পুরো শহর যখন বন্ধ, তখন নিজেরই তিনবেলার খাবারের যোগান অনিশ্চিত এই রিকশাচালকের। তবুও থেমে নেই জীবে দয়া।
মানুষের সাহায্যে তো মানুষ এগিয়ে আসছে। কিন্তু প্রাণিদের? তারা যে মানুষেই নির্ভরশীল। তাই বলে কী থেমে থাকবে জীবন?
গণমাধ্যম কর্মী ড্যানি দ্রং মনে করেন, এসব প্রাণির কথাও ভাবা উচিৎ, তাদের খাবারের যোগান দিতে সবার এগিয়ে আসা দরকার। নিজ নিজ এলাকায় তাদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করা গেলেও অনেক প্রাণীই হয়তো সংকট কাটিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে বলে মনে করছেন তিনি।