জয়পুরহাটের ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের।
ঝড়ে জমিতে নুয়ে পড়া পাকা ধান ডুবে গেছে পানিতে। সেই সাথে ঝরে গেছে ধান। ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা কৃষকদের। তবে দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ধানের ক্ষতি হবে না এমন দাবি কৃষি বিভাগের।
জয়পুরহাটে এ বছর বোরো চাষ হয়েছে ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে। মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার প্রতি হেক্টরে গড়ে ৬ মেট্রিক টনেরও বেশি ধান উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের। কিন্তু ধান কাটার মুহূর্তে গেল সপ্তাহে দফায় দফায় ঝড়ে জমিতে হেলে গেছে ধানগাছ। সেই সাথে বৃষ্টিতে অধিকাংশ জমির ধান ডুবে আছে পানিতে।
ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক বলেন, ‘পানিতে ডুবে থাকলে ধানের ক্ষতি হবে। তাই এ অবস্থায় অনেকেই পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক স.ম. মেফতাহুল বারী বলেন, ‘আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে পানি আর বাড়বে না। পানিতে ডুবে থাকলেও ধানের ক্ষতি হবে না। আশা করছি, পানি তারাতারি শুকিয়ে যাবে।’