ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জয়পুরহাট, লালমনিরহাট ও নওগাঁ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
কিন্তু জেলার হাসপাতালগুলোতে নেই চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। হাসপাতালগুলোতে নেই পিসিআর ল্যাব, স্থাপন করা হয়নি সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও পর্যাপ্ত আইসিইউ শয্যা।
জয়পুরহাট জেলায় বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশেরও বেশি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আগেও জেলায় স্থাপন করা হয়নি কোনো পিসিআর ল্যাব। ফলে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় বগুড়ায়। তাতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে ৫-৬ দিন।
করোনার এই দুরাবস্থার মধ্যে ১৫০ শয্যার আধুনিক জেলা হাসপাতালে স্থাপন করা হয়নি সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও আইসিইউ শয্যা। তাই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জটিলতা বাড়লে যেতে হয় বগুড়া , না হয় রাজশাহীতে। রোগীদের অভিযোগ,'এখানে কোন অক্সিজেন নাই। আইসিইউ নাই। টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ আসার পর বলা হচ্ছে আপনারা বাসায় যান। চিকিৎসা করেন।'
পিসিআর ল্যাবের জন্য আবেদন করার কথা জানালেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক। জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন,'পিসিআর ল্যাবের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম, আসলে এখানে জনবল সঙ্কট। মেডিক্যাল কলেজ ছাড়া পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা যায় না।'
এদিকে লালমনিরহাটে আবারো করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। বেড়েছে মৃত্যুর হারও। সদর হাসপাতাল ৫০ শয্যা থেকে একশ শয্যায় উন্নীত হলেও জনবল বাড়েনি। আর অবকাঠামোগত সংকটের কারণে আরটি পিসিআর ল্যাবও স্থাপন সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালে আইসিইউ বেড স্থাপনেরও অবকাঠামো নেই। এদিকে জেলায় একটি হাইফ্লো ন্যাজল ক্যানেলা আছে। যেটি নির্মাণাধীন সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু না হওয়ায় কাজে লাগছে না।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান,'আমাদের যে ক্রিটিক্যাল পেসেন্ট। যাদেরকে অক্সিজেন বেশি দিতে হয়, সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট না থাকার কারণে,আমরা অক্সিজেন ওই পেশেন্টকে দিতে পারছি না।'
নওগাঁয় সংক্রমণ বাড়লেও সদর জেনারেল হাসপাতালে এখন পর্যন্ত নেই কোন আরটি পিসিআর ল্যাব। নেই আইসিইউ বেডও। অনুমোদনের পর একমাসেও আরটি পিসিআর ল্যাব ও দুটি আইসিইউ বেড স্থাপন করা যায়নি।
নওগাঁ সদর হসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন,'পিসিআর মেশিন আমাদের এখানে এখনও আসেনি। আমরা পিসিআর মেশিন বসানোর জায়গাটা প্রস্তুত করে রেখেছি।'