বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচ সিরিজের ১ম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের।
টাইগার ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ নাইমের সাথে অভিষেক সাইফ হাসানের। দলে ফিরেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। বাদ পড়েছেন শামীম হোসেন ও নাসুম আহমেদ। তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ।
ওদিকে, চলতি বছরে এক হাজার টি-২০ স্কোরের সামনে পাকিস্তান ক্যাপ্টেন বাবর আজম।
শেষ হয়েছে বিশ্বকাপ, এখনো কাটেনি আমেজ। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারা দলটার এখন নিজেদের ঘরেই অবস্থান, চ্যালেঞ্জিং টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগারদের প্রতিপক্ষ দাপুটে পাকিস্তান।
ব্যাটিং-বোলিং সব দিক থেকেই বাবরদের চেয়ে ঢের পিছিয়ে মাহমুদউল্লাহর বাংলাদেশ। স্বস্তি একটাই, খেলা হবে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে।
চার সিনিয়রের তিনজন, তামিম-সাকিব-মুশফিক নাই দলে। সাইফউদ্দিন, রুবেলও নাই। অভিষেকের অপেক্ষায় হাফ ডজন ক্রিকেটার। বিপরীতে বিশ্বকাপের দলটা নিয়েই চলে এসেছে পাকিস্তান। তাই টাইগার ক্যাপ্টেন রিয়াদের কাছে উদ্বোধনী ম্যাচটা বড্ড বেশি চ্যালেঞ্জিং।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। রিয়েলি ফোকাসিং এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই তিনটা ম্যাচ আমরা দলের জন্য কতটুকু ভাল অবদান রাখতে পারি ইনডিভিজুয়ালি। ওটাই মুখ্য বিষয় এবং ওটায় ফোকাস রাখছি। আমি বলব অবশ্যই সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। পাকিস্তান ওয়ান অব দ্য বেস্ট টিম এ মুহূর্তে, আমাদের অনেকগুলো ছেলে নতুন সুযোগ পেয়েছে তো এটা আমাদের জন্য খুব কঠিন এক মিশন।
ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলনে সিরিয়াস মুডে ছিল টিম পাকিস্তান। ব্যাটিং-বোলিংয়ে বাবর আজমরা নিজেদের শানিয়ে নিয়েছেন পুরোপুরি। ফিল্ডিংও ছিল সমান মনোযোগ।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে সবগুলো ম্যাচে হারা বাংলাদেশকে কোনভাবেই ছোট করে দেখতে রাজি নন পাকিস্তান অধিনায়ক। হোম কন্ডিশনে টাইগাররা ঘটাতে পারে যেকোন কিছু সেটা ভালোই জানা আছে তার।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, আমাদের মূল টার্গেট মোমেন্টামগুলোকে কাজে লাগানো। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবসবই দুর্দান্ত দল। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন নিজেদের কন্ডিশনে তারা কতটা ভালো ক্রিকেট খেলে। মাঠে দর্শকও থাকবে। তাই আমাদের টার্গেট হবে পুরোপুরি পজেটিভ ক্রিকেট ক্রিকেট খেলা।
বাংলাদেশ একাদশ: সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শেখ মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।
পাকিস্তান দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), ফখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, হাসান আলি, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শোয়েব মালিক।