বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৮৬ সালে। আন্তর্জাতিকে দীর্ঘ আড়াই দশকের ক্যারিয়ারে টাইগারদের অবস্থান কই! নেই বৈশ্বিক কোন শিরোপা। মাঝে মধ্যে গর্জে উঠলেও ধারাবাহিকতার বড়ই অভাব।
হাতেখড়ির এগারো বছর পর ৯৭ সালে মেলে ওডিআই স্ট্যাটাস। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদার সাথে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ।
এত দীর্ঘসময়েও বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান সাদামাটা। বৈশ্বিক আসরে অর্জন বলতে নারীদের এশিয়া কাপ জয়। আর বিশ্বকাপ! সে তো বয়সভিত্তিক দলের অনূর্ধ্ব ১৯। তাহলে মূল দলের ঘাটতি কোথায়।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ বলেন, কেউ প্লেয়ারদের দোষারোপ করছে কেউ বোর্ডকে দোষারোপ করছে। জিনিসটা অনেকটা কাদা ছোড়াছুড়ির পর্যায়ে চলে গেছে। এটা না করে কিভাবে উন্নতি করা যায় এর দায় কিন্তু বোর্ডের উপর বর্তায়।
এ যাবতকালের সেরা টাইগাররাই আছেন জাতীয় দলে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে নেই বিসিবিও। র্যাংকিংয়ে চার-পাঁচেই থাকার কথা। তবুও এদেশে ক্রিকেটের উন্নতি হচ্ছে কই।
বিশ্লেষকরা বলছেন সমন্বয়ের বড়ই অভাব। বোর্ডের সঙ্গে টিমের, টিমের সঙ্গে কোচিং স্টাফের। কত কিছুরই না সমন্বয় প্রয়োজন। ক'দিন আগে খোদ বিসিবি সভাপতিও বলেছেন কমিউনিকেশন্স গ্যাপের কথা।
ফারুক আহমেদ বলেন, আমি বোর্ড প্রেসিডেন্টের কথা শুনেছি। উনি বলেছেন যে প্ল্র্যাররা খেলতে চায় না, তারা খেলতে চায় না এটার দায়িত্ব বোর্ডের। কোন পজিশনে প্লেয়ার দরকার সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এছাড়া আমি এবার টেস্টে দেখেছি যে তারা যে পজিশনে খেলেছে তারা সেখানে জন্য পারফেক্ট না।
জাতীয় ক্রিকেট দল আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, দুরত্ব একটা তৈরি হয়েছে। এগুলা আসলে ক্রিকেটের জন্য ভালো না। ম্যানেজমেন্ট এবং প্লেয়ারদের মধ্যে একটা ভালো বোঝাপড়া থাকা উচিত। তাহলেই একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা সম্ভব।
শুধু পরিকল্পনা করলেই চলবে না, দরকার সঠিক বাস্তবায়ন। ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে টিম গড়া। সব জায়গায় হওয়া চাই পেশাদারিত্ব।
গেল এক দশকে ঠিক হয়নি, এক বছরে হবে তো। বিসিবি সভাপতিই যে আস্থা রাখতে বলেছেন আরো একটা বছর।