সিগারেট কোম্পানির বিক্রয়কর্মী জুয়েল রানা হত্যার কারণ মাত্র পয়তাল্লিশ হাজার টাকা। ঘটনায় জড়িতরাও তার পূর্বপরিচিতি বা বন্ধু।
পুলিশ বলছে, ঘটনার আগে জুয়েলসহ তার বন্ধুরা একসঙ্গে বসে মাদক নেন। পরে বন্ধুরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিক্রয় কর্মী জুয়েল। বৃহস্পতিবার বাসা থেকে বের হন কাজের জন্য।
বাসায় না ফিরলে শুক্রবার তার স্ত্রী সালমা থানায় ডায়েরি করতে গিয়ে জানেন তার স্বামীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ বলছে-সঙ্গে থাকা পয়তাল্লিশ হাজার টাকা নিতেই জুয়েল রানাকে হত্যা করে তার পূর্ব পরিচিত মিরাজ, সাইফুল ও রাসেল।
ডিএমপি মিরপুর জোন উপকমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন,'মিরাজের টাকার দরকার হয়। মিরাজ নিশ্চিত ছিল যে জুয়েলের কাছে টাকা আছে। মূলত টাকাটা আত্মসাত করার জন্য জুয়েলকে সে হত্যা করে।'
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জুয়েলকে হত্যা করা হয়। পরে তা ড্রামে ভরে পিকআপে করে গাবতলীসহ তিনটি জায়গায় ঘুরে অবশেষে ফেলা হয় মিরপুরে।
আ স ম মাহতাব উদ্দিন আরও বলেন,'তাকে হত্যা করা হয়েছে কাভার ভ্যানের মধ্যে। পল্লবী, গাবতলী, মিরপুর এই তিন এলাকার মধ্যে তারা কাভার ভ্যান নিয়ে ঘুরেছে। কাভার ভ্যানে করেই মরদেহ ফেলে এসেছে।'
হত্যার বিচার দাবি করছেন তার পরিবার ।