টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এক ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা পুলিশের এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাত ৭টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ট্রাকচালক।
ঘটনাটির কথা ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমঝোতার মাধ্যমে ঘটনাটির সমাধান করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক ও অন্যান্যরা জানান, ট্রাকচালক হাফিজুর গাড়ি চালানোর সময় এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হঠাৎ গাড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে কর্মরত ট্রাফিক পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আকরাম এগিয়ে গিয়ে গাড়ি সড়ক থেকে সরাতে বলে এবং গাড়ীর কাগজপত্র দিতে বলে।
কাগজপত্র দিতে সামান্য দেরী হওয়ায় গাড়িতে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে আকরাম। এ নিয়ে তার সঙ্গে হাফিজুরের তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে পুলিশ সদস্য আকরাম চালক হাফিজুরকে মারধর করা শুরু করে। এসময় হাফিজুর মারধর থেকে বাঁচতে স্থানীয় একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়েও তাকে পুনরায় মারধর করা হয়।
ট্রাকচালককে মারধরের ঘটনা ওই এলাকায় জানাজানি হলে পরিবহন শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। রাত ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবী করে সড়ক অবরোধের কর্মসূচী পালন করে শ্রমিকরা। এসময় ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
পরে কালিহাতী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির উপস্থিত হয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ সদস্য আকরামকে এলেঙ্গার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে অন্য আরেকজন দায়িত্ব পালন করবেন। ঘটনা তদন্তশেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।