টাঙ্গাইলে অসময়ে ভাঙছে পৌংলী নদীতীর। দিশেহারা হয়ে পড়েছে কালিহাতীর সল্লা, দশকিয়া ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে নদী খননের ফলে এই ধস। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, স্থায়ী বাঁধ ছাড়া ধস ঠেকানো সম্ভব নয়।
নদীর পাড় ধসের কবলে পড়ে এখন বিলীনের পথে কালিহাতীর সল্লা ইউনিয়নের মীরহামজানি দক্ষিণ পাড়ার শত বছরের পুরনো জামে মসজিদ। কেবল এই মসজিদ নয়। তিনটি ইউনিয়নের শতশত স্থাপনা ধ্বংসলীলার সাক্ষি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাংলা ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের ফলে পাড় ধসে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগের তীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে।
তবে ধস ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধের বিকল্প নেই জানিয়ে এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলছেন কালিহাতীর সল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম। তিনি জানান, 'বাঁধটি যদি পুনরায় নির্মাণ করা হয় এবং সিসি ব্লক দিয়ে নদী প্রটেকশনের কাজ করা হয় এই ভোগান্তি থেকে আমার এলাকার মানুষ পরিত্রাণ পাবে।'
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'যেটা ভেঙে যাওয়ার সেটা আর রক্ষা করার উপায় নেই। আমরা স্থায়ী কাজ বাস্তবায়নের জন্য যে প্রকল্পটা হাতে নিচ্ছি, সেটা বাস্তবায়িত হলে সমস্ত নদী ভাঙন এলাকার মানুষের সমস্যা দূর হবে।'
সল্লা, দশকিয়া ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম ভয়াবহ নদীর পাড় ধসের কবলে পড়েছে।