ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নিয়মিত ক্লাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে আসার দাবিতে ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং কলেজের মুলফটকে তালা দিয়ে কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষর্থীরা জানায়, ৪ মাস ধরে দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষকরা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ক্লাস বর্জন করে আসছে। এতে দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেশন জটের আশংকায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে পড়ে। শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় শিফটের দ্রুত ক্লাস চালুর দাবি জানিয়েছেন।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সড়ে যায়।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন কর্মচারী সমিতি (বাকাশিঅকস )ঠাকুরগাঁও পলিট্যকনিক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো: গেলাম ফরিদ শেখ, বলেন, মূল বেতনের ৫০ শতাংশকে (জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী) ভিত্তি করে বেতন বৃদ্ধি পর্যায়ক্রমে ১০০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে সরকারকে। সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েও এ দাবি পূরণ করছেন না।
বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদ (বাপশিপ ) ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক শাখার সাধারণ সম্পাদক রাসেল মিয়া বলেন, মন্ত্রী-সচিবরা আমাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করলেও কোনো অদৃশ্য কারণে পরিপত্র জারি করে আমাদের দাবির পক্ষে সাড়া দিচ্ছেনা। ফলে আমাদের পক্ষে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস থেকে বিরত থাকা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম জানান, মন্ত্রালয় থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে সে প্রেক্ষিতে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের বলেছি ৭ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে এর পর শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে।