অবৈধ সম্পদের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত গাড়িচালক আব্দুল মালেক এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
মঙ্গলবার কমিশন তদন্তকারী কর্মকর্তার সুপারিশের প্রেক্ষিতে অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয়।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল মালেক তার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে করে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন ঘোষণা দেন। অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে এবং তা ভোগদখলে রাখেন। অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
একইভাবে দুদকের তদন্ত প্রতিবদেন ড্রাইভার আব্দুল মালেকের স্ত্রীর বিষয়ে বলা হয়, নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে পারস্পারিক যোগসাজশে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি মালেক দম্পতি। শিগগিরই বিচারিক আদালতে মালেক ও তার স্ত্রীর নামে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র পেশ করবেন দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি মালেক দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। সোমবার অস্ত্র মামলায় মালেকের ৩০ বছর সাজা দেয় আদালত।