কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ বিভিন্ন অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জীবনের তাগিদে ছাত্র, চাকরিজীবীসহ অনেকেই হয়েছেন ফুড ডেলিভারি কোম্পানির রাইডার। শুধু টাকার জন্য নয়, মানবসেবা মনে করেও কাজ করছেন অনেকে।
কুষ্টিয়ার রাজন আলী। সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকায় এসে যোগ দিয়েছেন ফুড পান্ডায়।
তিনি বলেন, 'পুরো এক বছরের বেশি সময় কোন কাজ নেই। বাসাতে বসেই থাকি। স্বাধীনতা আছে তাই ফুডপান্ডাতে এসেছি কাজ করার জন্য।'
ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্মী সেলিম, অবসরে কাজ করেন রাইডার হিসেবে। মানুষ উপকার পাওয়ায় হাসপাতালের মত এই কাজও মহৎ মনে করেন তিনি।
সেলিম বলেন, 'যে রকম আমি হাসপাতালে কাজ করি ওইটাও মানবসেবা, এটাও মানবসেবা। দেখা গেছে একটা অর্ডার নিয়ে গেছি, আযান দিয়ে দিলো, এর আগেই একটু খেয়ে নিই যদি সুযোগ থাকে। আন না থাকলে তো হয় না।'
ঢাকার অলিগলি ও রেস্টুরেন্টের সামনে এখন দেখা যাচ্ছে রাজন, সেলিমের মত অসংখ্য ফুড ডেলেভারি রাইডার। তারা বলছেন, টাকা উপার্জনের পাশাপাশি এই কাজে সেবা পাচ্ছে মানুষ, সেটিই আনন্দের।
একজন জানান, 'কষ্ট করে যেমনই লাগুক, কাজটা স্বাধীন। এ কারণেই ভালো লাগে তাই করি।'
আরো এক রাইডার বলেন, 'নিশ্চই তারা ইফতার খাওয়ার জন্য অর্ডারটা দিচ্ছে। পানি খেয়ে নিলেই আমার জন্য যথেষ্ঠ, তারপর না হয় ভালোমত ইফতারটা করতে পারবো।'
আরেক রাইডার জানান, 'কাস্টোমার যদি খুশি হয়ে ৫টা টাকা দেয়ে আমরা খুশি হয়ে যাই।'
রমজানে কাজের চাপে অনেককেই রাস্তায়ই করতে হচ্ছে ইফতার ।