সয়াবিন তেলের তেলেসমাতি যেন থামছেই না। রাজধানীর খুচরা বাজার প্রায় সয়াবিন তেলশূন্য। যাও বা দু'একটি দোকানে মিলছে তাতেও বাধ্যতামূলকভাবে ক্রেতাকে নিতে হচ্ছে অন্য পণ্য। ঈদের আগে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও। নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন হওয়ায় হতাশ সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজার। বেশির ভাগ দোকানেই নেই সয়াবিন তেল। যে দু-একটি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও আবার ক্রেতারা জিম্মি তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর কাছে।
একই অবস্থা খিলগাঁও তালতলা কাঁচা বাজারেও। প্রায় ৩০টির বেশি মুদি দোকান এখানে, কিন্তু সয়াবিন তেল আছে মাত্র দুটি দোকানে। তাও আবার দোকান খুলতে না খুলতেই শেষ। এতো দিন বাড়তি দামে পাওয়া গেলেও এখন তাও মিলছে না বাজারে। পুরো বাজারে ভোজ্যতেল বলতে সামাণ্য সানফ্লাওয়ার আর রাইস ব্র্যান তেল। যার দামও সাধারণের নাগালের বাইরে।
ঈদ কড়া নাড়ছে দরজায়। এর ধাক্কায় বেড়েছে মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বাজার ভেদে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস ৯৫০। চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে কক মুরগির দামও। কক বিক্রি হচ্ছে ৩২০ আর ব্রয়লার ১৭০ টাকা কেজি। বিক্রেতারা জানালেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। আর আদা রসুন পাওয়া যাচ্ছে আগের মত চড়া দামেই।
ঈদের চাহিদা বাড়ে এমন পণ্য গুলোর দামই একটু বাড়তি। বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০, টমেটো ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া বাজারে অন্য সবজি বিক্রি হচ্ছে গেল সপ্তাহের চড়া দামেই।