অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ পেতে ভারত ও বাংলাদেশের দু'টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের অন্তত ১৭২টি দেশের তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান তাদের ভ্যাকসিন মানবদেহে কার্যকর বলে ঘোষণা দিয়েছে। মানবদেহে প্রয়োগের জরুরি অনুমোদনের অপেক্ষায় এসব প্রতিষ্ঠান। অনুমোদন পেলেই শুরু হবে বিপণন। বৈশ্বিক এই ভ্যাকসিন দৌড়ে আছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানও।
মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন পেতে আবেদনও করেছে তারা। মার্কিন বাজারে এর মূল্য হতে পারে প্রায় ২০ ডলার।
নিজেদের ভ্যাকসিনকে প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল দাবি করছে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মডার্না। ২৫ থেকে ৩৭ ডলারে এটি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে আরও কম দামে ভ্যাকসিন পেতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন। এখন মানবদেহে ব্যবহারের জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদনের অপেক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে গড়ে ৭০ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন পেতে খুব শিগগিরই আবেদন করবে তারা। করোনার সম্ভাব্য সব ভ্যাকসিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিনটির দাম হতে পারে সর্বনিম্ন মাত্র তিন থেকে চার ডলার।
অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনটির তিন কোটি ডোজ পেতে ভারত ও বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
অন্যদিকে, করোনা প্রতিরোধে নিজেদের তৈরি স্পুটনিক-৫ ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করছে রাশিয়া। এখন মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদনের অপেক্ষায় এ ভ্যাকসিন। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের মূল্য হতে পারে ১০ ডলারেরও কম।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বৈশ্বিক ভ্যাকসিন দৌড়ে সফলভাবে আছে গ্লোব বায়োটেক। তাদের 'ব্যানকোভিড' ভ্যাকসিনের প্রাণিদেহে সফলভাবে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মানবদেহে পরীক্ষা চালাতে আইসিডিডিআরবির সঙ্গে চুক্তিও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।