অপরাধ, রাজধানী

দক্ষিণখানে ৩ খুন: গৃহকর্তা রাকিবকে আসামি করে হত্যা মামলা

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৩২:৩০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় পলাতক গৃহকর্তা রাকিব ভূঁইয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের।

মোটা অঙ্কের ঋণ ও বিষন্নতা থেকেই নিজ স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে খুন। সবমিলিয়ে দক্ষিণখানের ত্রিপল মার্ডারের ঘটনায় গৃহকর্তার লেখা ডায়েরি ও স্বজনদের বক্তব্য ধরেই তদন্ত করছে পুলিশ। তবে, আসামির সাথে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার হদিস মিলছে না বলে জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তারা।

শুক্রবার রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকৌশলী রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার বাসা থেকে তার স্ত্রী মুন্নি বেগম ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে রাকিবের একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়। ঋণগ্রস্ত থাকায় স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছে বলে লেখা আছে সেখানে। সেইসঙ্গে নিজেও আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়ে লাপাত্তা।

গৃহকর্তা রাকিবের স্ত্রী নিহত মুন্নী বেগমের চাচাতো ভাই মামুনুর রশীদ বাবু জানান, 'ডায়েরিতে লেখা ছিলো আমার স্ত্রী-সন্তানরা যেন কারও বোঝা হয়ে না থাকে সেজন্যই তাদের হত্যা করা হয়েছে।' আর তাকে রেললাইনে পাওয়া যাবে এমনটা ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন বলেও জানান নিহত মুন্নী বেগমের চাচাত ভাই।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রথমে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মুন্নি বেগমের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়।

আলোচিত এই তিনখুনের ঘটনায় নিহত মুন্নির ভাই মুন্না একমাত্র রাকিব ভূঁইয়াকেই আসামি করে দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার ধরণ ও ডায়েরির লেখা দেখে পুলিশের ধারণা, রাকিবই তার স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা জোনের ডিসি নাবিদ কামাল জানান, রাকিব হতাশাগ্রস্থ ছিলেন, তবে মানসিক হতাশার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।' তিনি আরও জানান, ১২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না, এমনকি মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার খোঁজ পাওয়া যাবে।

রাকিবের ঋণগ্রস্ত  হওয়ার বিষয়টি এলাকাবাসী না জানলেও, কয়েক মাস আগে তার অপহরণ হওয়ার কথা সবাই জানেন।

আরও পড়ুন