দফায় দফায় বগুড়ার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। অজুহাত প্রায় একমাস ধরে বন্ধ ভারতের পেঁয়াজ আমদানি। আর এ খবর প্রচারের পর থেকেই পাইকারি ও খুচরা বাজারে লাগামহীন পেঁয়াজের দাম।
১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম তিন দফা বেড়েছে বগুড়ার পাইকারি ও খুচরা বাজারে। যেসব পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতো তা এখন ৫৫ টাকাতেও মিলছে না।
কোন বাজারেই নেই নির্ধারিত মূল্য। এ জন্য ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারী ও খুচরা বাজারে দামের পার্থক্যও লাগামহীন। নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্য কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষদের।
ক্রেতারা বলেন, কিছুদিন আগেও যে পেঁয়াজ ৩৫ টাকা করে কিনেছি সেগুলো এখন তা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে যদি দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।
বিক্রেতারা বলেন, পেঁয়াজের দাম এখন আগের এখন কিছুটা বেশি। আমাদের পাইকারি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এছাড়া দুই কেজি পেঁয়াজে অনেক সময় এক কেজির মত পঁচা থাকে সেই দামও আমাদের দিতে হয়।
ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি শুরু হলে আবারো দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বগুড়া রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, প্রায় এক মাস যাবত ভারতীয় কোন পেঁয়াজ আমরা পাচ্ছি না। সব দেশি পেঁয়াজ আর শুধু দেশি পেঁয়াজ দিয়ে আমাদের চাহিদা সম্ভব না। ভারতীয় পেঁয়াজ আসলে আবার দাম স্বাভাবিক হবে।
অন্যদিকে, গেলো বেশকিছু দিন বাজার পরিস্থিতি বেসামাল হলেও তা মানতে নারাজ কৃষি বিপনন কর্মকর্তারা। জেলা সিনিয়র কৃষি বিপনন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে অযথা দাম বৃদ্ধি করতে না পারে তাই আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটর করতেছি। এছাড়া কৃষকরা যাতে লাভবান হয় সেদিকেও আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজে এক তৃতীয়াংশ ভোক্তার চাহিদা মেটায়। তাই বগুড়ার অধিকাংশ মানুষকেই নির্ভর করতে হয় পাবনা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা এবং ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি দাবি করেছেন স্থানীয়রা!