জেলার সংবাদ

দাদনের জালে বন্দি বরগুনার উপকূলীয় জেলেরা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

জেলেদের জন্য নেই কোন ঋণ বা সরকারি উদ্যোগ।

দাদনের জালে বন্দি বরগুনার উপকূলীয় জেলেরা। মধ্যস্বত্বভোগী পাইকার ও মহাজনদের দাদনের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে ভিটে মাটি হারিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন অনেকেই। জেলে ও মৎস্যজীবী নেতারা বলছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব এনে দিলেও জেলেদের বাঁচাতে সরকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই, নেই কোনো ঋণের সুবিধা।

বরগুনার উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীদের সিংহভাগই প্রান্তিক জেলে। যারা ৪-৫জন জেলের সমন্বয়ে নৌকা, জাল ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জোগাড় করে ভাগে মাছ শিকার করেন।

নিজস্ব পুঁজি না থাকায় নৌকা তৈরি থেকে শুরু করে জাল কেনা পর্যন্ত মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নিতে হয় তাদের।  আর এ বাবদ শতকরা ১০ থেকে ১৫ টাকা সুদ হিসেবে কেটে রাখেন মহাজন।  এছাড়া প্রতিকেজি মাছে এক’শ গ্রাম মাছ কম ধরে ওজনে মহাজনদের কাছে মাছ বিক্রি করতে হয়। এর বাইরেও চলতি বাজার দরের থেকে কেজিপ্রতি শতকরা ১০ টাকা দাম কম দেয়া হয়। অর্থাৎ, পাঁচশ টাকার মাছ বিক্রি করলে সাড়ে তিনশ টাকা হাতে পান জেলেরা।

মহাজনদের এ দৌরাত্ম্য গোটা উপকূলীয় এলাকায়। একজন জেলেও নেই, যিনি দাদনের শিকার নন। এই অত্যাচার থেকে বাঁচাতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি জেলে নেতাদের।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী সমিতি সভাপতি ইমরুল কায়েস বলেন, ব্যাংক কৃষিকাজ, হাঁস-মুরগি পালনে এসবের জন্য ঋণ দিলেই নদীতে মাছ ধরে যারা জীবিকা নির্বাহ করে তাদের কোন ঋণ দেয় না। এসব জেলেদের যদি ব্যাংক থেকে ঋনের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে তাদের আর আড়তদারদের কাছে যেতে হয়না।

অবহেলিত এসব জেলের ভাগ্য পরিবর্তনের সরকার সম্ভব সব সহযোগিতা করতে প্রস্তত বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি বলেন,মৎসজীবিরা যদি জাল, নৌকা কেনার জন্য যদি তারা ঋণের জন্য আবেদন করে, তাহলে বিধি মোতাবেক তাদেরকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন