দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের পুতুল গ্রামের নারীদের হস্তশিল্পের সুনাম দিনদিন বাড়ছে।
শুধু সুতা আর তুলা দিয়ে তারা তৈরি করেন জীবজন্তু, ফল-মূলসহ পুতুল জাতীয় বিভিন্ন সামগ্রী। বাড়তি অর্থ উপার্জনের আশায় নারীদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও জড়িত হচ্ছেন এ কাজে। তবে, পারিশ্রমিকে সন্তুষ্ট নন তারা।
এই গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি সুতার পুতুলের কারণে নামটাই বদলে যাচ্ছে। এখন অনেকের কাছেই পরিচিত পুতুল গ্রাম নামে। এটি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রাম। হাতে বুনানো নামে একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যেগে ১০ বছর ধরে এখানকার নারী ও শিক্ষার্থীরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে পুতুল সামগ্রী তৈরি করেন। ছোট আকৃতির পুতুল একদিনে চারটি বানাতে পারলেও বড় আকৃতির পুতুল দিনে এক থেকে দু'টির বেশি সম্ভব হয়না। পুতুল তৈরির উপকরণ প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ করলেও পারিশ্রমিকে খুশী নন তারা।
সুপারভাইজাররা জানান, গ্রামের নারীদের এই কাজে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়েছে। এখন প্রায় পাঁচশ' নারী এ কাজে জড়িত।
এসব পুতুল সামগ্রী যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়। করোনার কারণে একটু সমস্যা হলেও পরিস্থিতি ভালো হলে আবার আগের মতোই ব্যবসা চাঙ্গা হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। দিন দিন পুতুল সামগ্রীর চাহিদা ও কদর বাড়লেও নারী হস্তশিল্পীদের মজুরি বাড়াতে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা হতাশাব্যঞ্জক।