এন্ড্রু কিশোরের দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পরই শেষকৃত্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে পরিবার ও বন্ধুরা।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই সোমবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর কাছে হার মানলেন এন্ড্রু কিশোর। সিঙ্গাপুর থেকে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফোরার পর থেকেই এন্ড্রু কিশোর রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় ছিলেন। তার বোনের বাসার একটি অংশেই রয়েছে ক্লিনিক। সেখানেই বড় বোন ডা. শিখা বিশ্বাস এবং বোনের স্বামী ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন জনপ্রিয় এ কন্ঠশিল্পী।
এন্ড্রু কিশোরের ছেলে-মেয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছেন। তারা সেখান থেকে দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। তার দুই সন্তান দেশে ফিরলেই বরেণ্য এ কন্ঠশিল্পীর শেষকৃত্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার ও বন্ধুরা।
তার আগ পর্যন্ত শিল্পীর মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।আর সমাহিত করা হবে রাজশাহী নগরীর সার্কিট হাউসের পেছনে খ্রিস্টান কবরস্থানে।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে গত ২০ জুন রাজশাহীতে বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসায় ওঠেন এন্ড্রু কিশোর। বোন ও দুলাভাই দুজনই চিকিৎসক হওয়ায় তাদের তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা ছিলেন এন্ড্রু কিশোর।
প্রায় ১ বছর ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১১ জুন দেশে ফিরেন তিনি। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ছয়টি ধাপে তাকে মোট ২৪টি কেমোথেরাপি দেয়া হয়। ক্যান্সার ছাড়াও এন্ড্রু কিশোর কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।