জাতীয়, অপরাধ, রাজধানী, প্রবাস

দুবাই থেকে চুরি হয় ডেবিট কার্ড, অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয় বাংলাদেশ থেকে

ময়ূখ

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২১শে জানুয়ারী ২০২০ ০৭:৪৮:৪১ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দুবাই থেকে চুরি হয় ডেবিট কার্ড। আর সেই কার্ড দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তোলা হয় টাকা।

দুবাই প্রবাসী ব্যক্তি দেশে এসে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে তথ্য মেলে এক নারীর। যিনি ২৬ বারে তুলে নিয়েছেন প্রবাসীর একাউন্ট থেকে ১৩ লাখ টাকা। পুলিশ খুঁজছে সেই নারীকে। আর প্রবাসী ঘোষণা করেছেন পুরস্কার।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলছেন এক নারী। সিসি ক্যামেরার ছবি বিশ্লেষণ করে পুলিশ নিশ্চিত হয়- একই ব্যাংকের বিভিন্ন বুথ থেকে ২৬ বার টাকা তোলেন একজন নারী। 

ঘটনার শুরু গেলো বছরের নভেম্বরে। দুবাই প্রবাসী সাইফুল ইসলাম ঢাকায় এসে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। ব্যাংকে তার হিসাবে থাকা ১৩ লাখ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। এটিএম কার্ডটিও পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তিনি অভিযোগ দেন পুলিশে।  

ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বলেন, "এক লাখ টাকার চেক লিখে ব্যাংক কাউন্টারে দেয়ার পর তারা জানায় আমার পর্যাপ্ত ব্যালেন্স নেই। তখনি সন্দেহ হলো, আমার অ্যাকাউন্টের তো ১৩ লাখ টাকার উপরে ছিলো। টাকা কথায় গেল! পরে দেখলাম, আমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট কার্ড দিয়ে নিয়ে গেছে। কার্ডের পিন নম্বর আমার মানিব্যাগে একটি কাগজে লেখা ছিলো। আমার ধারণা আমার কাছের কোন মানুষ এখান থেকে কার্ড নিয়ে সেটা বাংলাদেশে পাঠিয়েছে, তারপর সেখান থেকে টাকা উঠিয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের ৭ই জুলাই থেকে ১৮ই আগস্টের মধ্যে ঢাকায় সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের ৬টি বুথ থেকে টাকা তুলেছেন এক নারী। ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী সাইফুলের অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ বার টাকা তোলা হয়। ছয়টি বুথের সিসি ক্যামেরার ভিডিও যাচাই করেও দেখা গেছে, ২৬ বার ওই নারীই টাকা তুলেছেন। 

উপ-পুলিশ কমিশনার (সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন, ডিবি) মীর মোদাসসের হোসেন বলেন, "মতিঝিল, মৌচাক,শাহজাদপুর, খিলগা এই রোডটার মধ্যে যে বুথগুলো আছে সেগুলো থেকেই টাকা তোলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লাখ টাকা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। যে টাকা তুলেছে আমরা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। পরিচয় জানা গেলে তাকে আমরা আইনের কাছে উপস্থাপন করতে পারব এবং চুরিকৃত টাকা উদ্ধার করতে পারবো।"

পুলিশ বলছে- সন্দেহভাজন ওই নারীর সন্ধান পাওয়া গেলে মিলতে পারে বড় চক্রের। যার সঙ্গে দুবাই প্রবাসী সাইফুলের পরিচিত কেউ জড়িত থাকতে পারে। 

আরও পড়ুন