টিআইবি’র গবেষণার তথ্য

দুর্নীতিবরোধী পদক্ষেপে ৪৪ শতাংশ নারী ইউএনও বাধা পান

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা নভেম্বর ২০২১ ০২:৫১:২১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ায় প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাধার মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদরা তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে থাকেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। দেশে সুশাসন নিশ্চিতে এগুলো অন্যতম বাধা বলে মন্তব্য করেছে টিআইবি।

স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তা জানতে দেশের বিভিন্ন উপজেলার ৪৫ জন নারী ইউএনও'কে নিয়ে গবেষণা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

অংশগ্রহণকারী প্রায় ৪১ শতাংশ নারী ইউএনও জানিয়েছেন, তারা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা পান না। উল্টো ত্রাণসামগ্রী বিতরণে অনিয়ম থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। এমনকি অনৈতিক কাজ করার জন্য চাপ দেয়ার কথা জানিয়েছেন এক-তৃতীয়াংশ ইউএনও। জনসেবামূলক কাজ করতে গিয়ে প্রায় ২৬ শতাংশ ইউএনও বাধার সম্মুখীন হয়। 

৬০ শতাংশ ইউএনও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জরিপে উঠে এসেছে। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে ৫০ শতাংশ, ৪৭.৬ শতাংশ রাজনীতিবিদ, জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছ থেকেও সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে দুর্নীতি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারার অন্যতম কারণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে না। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ও জেন্ডার সংবেদনশীল নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন