এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হল দেশের ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সারাদেশের মোট সাতটি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে চলে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার মোট ৭৬ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৪৬ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৫০০ জন।
এর আগে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। যেসব আবেদনকারী এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিত এই চার বিষয়ে ১ হাজার ৩০ নম্বর পেয়েছে শুধুমাত্র তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন কাছের পরীক্ষা কেন্দ্রে পছন্দের তালিকা দিয়েও তারা পরীক্ষা দিতে পারে নাই। চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর থেকে এসে ময়মনসিংহে পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাদের। এতে তারা চরম ভোগান্তির স্বীকার হয়েছেন।
আর কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীদের মেরিট অনুযায়ী কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে।
এবার নিবন্ধিত পরীক্ষার্থী সংখ্যা অনুযায়ী, প্রতি আসনের বিপরীতে ১০ জন শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনি প্রশ্নের (এমসিকিউ) উত্তর দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থ বিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন ছিল। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের নম্বর ছাড়াও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ২০ নম্বর এবং এইচএসসি ও সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।