দেশে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনার নমুনা পরীক্ষা এবং অক্সিজেনের মূল্য বেশি নেয়ার অভিযোগ গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। দু'একটি প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসেসিয়েশন নেবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার (৬ মে) বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসেসিয়েশন আয়োজিত অনলাইন বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশপাশি বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। সুনামের পাশাপাশি ভুয়া পরীক্ষা দেয়া এবং চিকিৎসা ব্যয় নিয়েও অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। এমন অবস্থায় করোনা মোকাবেলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট ও উত্তরণের উপায় নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানান, করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অক্সিজেনের দাম বেশি রাখার বিষয়ে গোয়েন্দারা কাজ করছে।
আর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান বলেন, 'করোনা পরীক্ষা ও অক্সিজেন নিয়ে দু'একটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের দায় সংগঠন নেবে না।'
করোনায় মারা যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা, অক্সিজেন জেনারেটর আমদানির উপর ট্যাক্স-ভ্যাট কমানো এবং ব্যাংকের সুদ কমানোর দাবি জানান এ খাতের উদ্যোক্তারা।
তাদের দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জানান, কোভিডের কারণে নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে এবং মৃত্যু বাড়ছে। সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালগুলোকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশে এখন ২১০ টন অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী ভবিষ্যতের জন্য ১ হাজার টন মজুদ রাখার পরিকল্পনার কথা জানান।
জীবন বাঁচাতে ক্ষণিকের আনন্দ পরিহার করে ঈদে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন বক্তারা।