করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জন।
এছাড়াও, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে মোট ১২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।
সোমবার (৬ই এপ্রিল) দুপুরে, মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস-বিসিপিএস ভবনের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় তিনি জানান, দেশে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য আগামী ৩০ দিন আরও সংকটপূর্ণ। সচেতন ও সাবধানে থাকলে জাতি রক্ষা পাবে। আর্মি ও পুলিশ বাহিনীরাও যথেষ্ট কাজ করছে। রাস্তাঘাটে তারাও ঝুঁকি নিচ্ছে। লোকজন যেন ঘরে থাকেন তারা যেন এ ব্যাপারে আরও নজরদারি করেন ও কঠোর থাকেন।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বসে থাকার আর সময় নেই, একসঙ্গে সবাই কাজ করলে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। ডাক্তারদের প্রণোদনা দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস না করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। প্রথমে ২৬শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত করোনার বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ছুটি বাড়ানো হয়েছে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে গণপরিবহন সবই বন্ধ রয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতালসহ জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে রয়েছে। আর, সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৯,৪৮৮ জন ব্যক্তি। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে মারা গেছেন ৪,৭৩৭ জন। সারা বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৪৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৪০৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৪৩ জন। বর্তমানে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯ লক্ষ ৪০ হাজার ৫১৭ জন। যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ৪৫,৯০০ জন।