স্বাস্থ্য, নারী

ধীরে ধীরে কমে আসছে মাতৃমৃত্যু, করোনায় বাড়ছে ঝুঁকি

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৮শে মে ২০২১ ১০:৩৮:২৪ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে ধীরে ধীরে কমে আসছে মাতৃমৃত্যু। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক জরিপে।

দেশে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম চ্যালেঞ্জ খিঁচুনি ও রক্তক্ষরণের পাশাপাশি বেড়েছে গর্ভপাত। তবে করোনা মহামারীর বিরূপ প্রভাবে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব কমে যাওয়ায় বেড়েছে মাতৃমৃত্যুর সম্ভাবনা। এমন বাস্তবতায় আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।

করোনা আক্রান্ত রিফাত ছিলেন গর্ভবতী। গর্ভকালীন জটিলতায় সন্তান প্রসবের পরপরই মারা যান তিনি। 

সর্বশেষ মাতৃমৃত্যু জরিপ ২০১৬ তে দেখা গেছে, প্রতি লাখে সন্তান জন্ম দিতে ১৯৬ জন মা মারা যেতেন। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, এখন প্রতি লাখে ১৬৫ জন মা মারা যান। 

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক বিভাগীয় প্রধান (স্ত্রী ও প্রসুতি বিভাগ) ডা. ফাতেমা আশরাফ বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেলে তার প্রভাব অনেক সময়ই বাচ্চার উপর পড়ে। এছাড়া আরেক সমস্যা হচ্ছে ডেটের আগেই ডেলিভারি হয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনির পাশাপাশি বেড়েছে অনিরাপদ গর্ভপাত। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিপোর্টের জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নুর উন নবী বলেন, যেখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাক্তার বা নার্স ছাড়া একজন গর্ভবতী মায়ের এম আর করা যায় না সেখানে অনেক জায়গায় একটা আয়া এম আর করাচ্ছেন। এছাড়া যে ওষুধগুলো প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেয়া উচিত না অনেক ফার্মেসিতে তা দেয়া হয়। এ জিনিসগুলো আমাদের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 

করোনায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব কমে এলেও মাতৃমৃত্যুর দীর্ঘমেয়াদী কারণগুলো সমাধানে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলছে সরকার। 

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরীফ বলেন, আমাদের দেশের অনেক ফার্মেসি থেকে ইরেগুলার ডোজ এবং এম আর এম ড্রাগস দেয়া কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি। ম্যাক্সাল ইনজেকশন আমরা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সরবরাহ করছি। এছাড়া নেপালসহ অন্যান্য দেশে যে ওষুধ দিয়ে গর্ভবতী মায়েদের রক্তক্ষরণ কমানো হয় আমরাও সেটা চালু করেছি।

প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়াতেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন